বেসিক ইন্সটিক্টঃ ১ এবং ২


প্রথমটা দেখেছিলাম লুকিয়েলুকিয়ে। তখনো যৌনতা বিষয়ক কিশোরসুলভ চিত্তচাঞ্চল্য বিদ্যমান আমাদের মধ্যে। মানুষের বেসিক ইনস্টিংক্ট কি এটাই নাকি নিষ্ঠুরতা- এরকম কোন জটিলতর ভাবনা তখনো আমাদের কাছে অকারন।
লুকিয়ে দেখা আরো অনেক কিছুর লিষ্টে বেসিক ইন্সটিংক্ট নামক সিনেমাটিও ছিলো। মাহেন্দ্রক্ষণে যখন শ্যারোন স্টোন তার পা বদলালেন, সামনে বসে থাকা ডিটেকটিভদের পেছনে তখন আমরাও ছিলাম, আমরা-কিছু উদভ্রান্ত কিশোর, গলায় আটকানো গন্ধম ফলের অস্তিত¡ অস্বিকারের চেষ্টায় বারে বারে ঢোক গিলছি সবাই।
আটকানো দরজার এপাশে, কমানো ভলিউমে, একসাথে বসে দেখতে দেখতেও নানা দৃশ্যে নিজেদের মাইকেল ডগলাস ভেবে ফেলবার মত স্বার্থপর নি:সঙ্গতায় আমরা কমবেশি সবাই আক্রান্ত। শ্যারোন স্টোনের তীব্রতায় ডুবতে ডুবতে আমরা নিষিদ্ধ গন্ধ পাই। সেই গন্ধ আমাকে বহু বছর আগে কেনা আমাদের ছোট্ট-নতুন-কাঠের শো-কেসটির কথা মনে পড়িয়ে দেয়। কি অদ্ভুত ঝাঁঝালো একটা গন্ধ ছিলো তাতে, আর কি সুন্দরই না সেই বাদামী রঙের পলিশ করা গা তার, শ্যারোন স্টোনের মতই।

দ্বিতীয় পর্ব দেখলাম গতকাল।
অনাবশ্যক জটিলতা কাহিনিতে। সেই জম্পেশ সাইকো-থ্রিলার ভাবটি অনুপস্থিত সেখানে, বরং খানিকটা যেন সাই-ফাই। যেসব ছবির শেষে পাদটীকা আকারে এতক্ষণ দেখে আসা নানা দৃশ্যের ব্যাখ্যা সংযোজন করা হয়, তাদের আমার পছন্দ নয়। অনেক বেশি পৌনপুনিকতায় বৃত্তাবদ্ধ এবারের পর্ব। খানিকটা নতুনত¡ বোধহয় হতে পারে মানসিক আধিপত্য ছড়িয়ে এমকি খুনও করিয়ে ফেলবার আইডিয়াটুকু।
তুলনায় না গিয়েও শুধু একক মুভি হিসেবেও ভালো লাগেনি বলা চলে।
দরোজা না আটকে অথবা ভলিউম না কমানো একটা কারণ বলে বিবেচিত হতে পারে। অথবা হয়তো ঢোক না গিলেও নিজের অ্যাডামস অ্যাপেলের অস্তিত¡ খালি চোখেই দেখতে পাওয়াটা। কিংবা, পাংশুটে পলিশের সেই পুরোনো শো-কেসও হতে পারে, সময়ের সাথে সাথে ক্রমশ বুড়োটে হয়ে গেছে সে, যেমনটা হয়েছেন শ্যারোন স্টোন!


--------------

Popular posts from this blog

The Boy, the Mole, the Fox and the Horse | Charlie Mackesy

মধ্যাহ্নভোজ | উইলিয়াম সমারসেট মম্‌ | রূপান্তরঃ তারেক নূরুল হাসান

আরেকটিবার-